সারাদিন কাজ করতে করতে জীবনের সব প্রাণশক্তি হারিয়ে যাচ্ছে কি আপনার? কীভাবে আপনার কাজ ও জীবনে ব্যালেন্স আনতে পারবেন তাই নিয়ে এই আর্টিকেল।

এই আর্টিকেলটি এন্টারপ্রেনার ডটকমের লেখকদের একান্ত মতামত উপর ভিত্তি করে লিখিত।

প্রতিদিন আমরা একগাদা কাজের লিস্ট বানাই। তারপর আমাদের সারাদিন ধরে এগুলি শেষ করি। দিনের কোনো সময় যদি কিছুটা অবসর কাটাই, তখনই আমাদের অপরাধবোধ কাজ করে। মনে হয় ইচ্ছা করলে আরো কাজ শেষ করতে পারতাম।

প্রোডাক্টিভিটির ফাঁদে পড়েছেন? বার্ন-আউট থেকে বাঁচার ৭টি উপায়
কীভাবে আমরা বার্ন আউট থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি?

এর মধ্যে আমাদের প্রতিদিনের কাজগুলির জন্য সময় বের করা লাগে—জিমে যাওয়ার সময় করতে হয়, বন্ধু আর পরিবারের সাথে সময় কাটাতে হয়, নতুন নতুন স্কিল শিখতে হয়, ঘরের কাজ করতে হয়।

এইভাবে সারাদিন প্রোডাক্টিভিটির চক্করে পড়ে আমাদের শরীর-মন বিধ্বস্ত হয়ে যায়, একেই বলা হচ্ছে বার্ন আউট।

কীভাবে আমরা বার্ন আউট থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি? এর বাঁচার উপায় হচ্ছে, দিনে কতটুকু প্রোডাক্টিভ হলাম এসব হিসাব না করে যে কাজগুলি আসলেই জরুরি শুধু সেই কাজগুলি করা। এমন অভ্যাস তৈর করা অসম্ভব মনে হচ্ছে? এই ৭টি উপায় আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

১. নিজেকে বলুন, কাজ না করলেও আপনার কিছু যায় আসে না

সাইকোলজি টুডে’তে মাইকেল উডওয়ার্ড উদ্যোক্তাদের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্যের কথা উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেন, উদ্যোক্তারা মনে করে ব্যবসার বিভিন্ন অংশ চালাতে পারার ক্ষমতা একটা ঈর্ষণীয় বিষয়। উদ্যোক্তাদের কাছে তাদের ব্যবসা নিজের বাচ্চার মতো। এর প্রতিটি অংশের সাথে তারা ওতপ্রোতভাবে জড়িত থাকতে চায়।

কিন্ত আপনি যখন আপনার বাচ্চাকে কিছুতে পারদর্শী করতে চান, ধরেন কোনো একটা বাদ্যযন্ত্র শেখাতে চান বা অন্য কোনো স্কিল শেখাতে চান তখন আপনি কী করেন? আপনি অবশ্যই তার জন্যে একটা শিক্ষক নিয়োগ দেন। বিষয়গুলি নিয়ে আপনার হয়ত ভাল আইডিয়া আছে, কিন্ত আপনি জানেন পরিপূর্ণ শিক্ষা দেয়ার মতো দক্ষতা আপনার নাই।

বিষয়টা আপনার ব্যবসার জন্যেও সত্য। আপনি অ্যাকাউন্টিংয়ের কাজ জানেন না বা আপনি কোডিং জানেন না তাতে অসুবিধা নাই। এগুলির জন্য আলাদা মানুষ আছে। আপনি যদি প্রশাসনিক বিষয়গুলি নিজে করতে না চান, তাতেও সমস্যা নাই। আপনি একজন সহযোগী নিয়োগ দেন।

একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, সকল বিষয় আপনি প্রাধান্য দিতে পারবেন না। ব্যবসার সকল বিষয় হয়ত আপনার মাথায় থাকবে। কিন্ত আপনি সেই কাজেই সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় করবেন যা করতে আপনি ভালোবাসেন। এই নিয়মে কাজ করলে আপনি সহজে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবেন।

২. কাজের পরিমাণ কমান

আমাদের কালচার এখন প্রোডাক্টিভির নেশায় বুঁদ হয়ে আছ। স্ট্যানফোর্ডের গবেষক এবং লেখক এমা সেপালার মতে, “স্টাডিতে আমরা পেয়েছি, প্রতিদিন বিশাল লিস্ট ধরে কাজ শেষ করার অভ্যাস আমাদের আসলে ক্ষতিই করে।”
কাজ করার নেশা (ওয়ার্কাহোলিজম) বিষণ্নতা ও উদ্বেগের ঝুঁকি দ্বিগুণ করে। আবার আরেকটা গবেষণায় এসেছে, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ প্রোডাক্টিভিটি কমিয়ে দেয় এবং কাজের মান খারাপ করে। এ কারণে কাজের মান খারাপ হয়ে যায় এবং প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। একই সাথে মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা নষ্ট হয় এবং ঘুমের মারাত্মক সমস্যা সৃষ্টি হয়।

আরো পড়ুন: অভ্যাস বদলাতে চান?—যারা সক্ষম হয়েছেন এমন ৩০ জনের ১ লাইনের গল্প

এসবের একমাত্র সমাধান কাজের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া। কিন্ত সবার পক্ষে তা সম্ভব নয়। বিশেষ করে যারা উদ্যোক্তা তাদের জন্য। এসব ক্ষেত্রে আসলে নিজের কাছেই প্রশ্ন করতে হবে যে আমি আরো একটু কাজ করলে কি তাতে কোম্পানির অনেক বড় লাভ হবে। আবার কেউ আছে এমন যে কাজ করতে পারলে বরং তাদের স্ট্রেস কমে। তাই এখানে আসলে আপনার নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে কোন ফর্মুলা আপনার জন্য কাজে দিবে।

প্রোডাক্টিভ
“এত সব কাজ করা মানেই কি আপনি প্রোডাক্টিভ হচ্ছেন, নাকি এগুলি আপনার কেবলই কাজ করার অভ্যাস?”

ইউনিভার্সিটি অফ ম্যানহেইমের অরগানাইজেশনাল সাইকোলজির প্রফেসর সাবিন সনেন্টাগ বলেন, “যারা বিশ্রামের সময়ও কাজ থেকে দূরে থাকতে জানে না, তারা এক সময় চরমভাবে ভেঙে পড়ে। এক বছরের মধ্যে তাদের মধ্যে প্রেসারে কাজ করার ক্ষমতা অনেকাংশে হ্রাস পায়।” অন্যদিকে এমা সেপেলা মতামত দেন যে, “খুব প্রেসারের কাজ থেকে যদি নিজেকে কিছুদিনের জন্য একেবারে দূরে রাখতে পারেন, তবে আপনি স্ট্রেস থেকে অনেক জলদি মুক্তি পাবেন এবং আপনার প্রোডাক্টিভিটির উন্নতি ঘটবে।”

আপনাকে গুরুত্ব অনুযায়ী কাজ করতে হবে। সবচেয়ে জরুরি কাজগুলি নিজে করবেন। এরপর কিছু কাজ অন্যদের দিয়ে করাবেন আর কিছু কাজ আপনাকে একেবারে বাদ দিতে হবে।

আরেকটা বিষয়, কাজের মাঝখানে বিরতি রেখেই দিনের শিডিউল তৈরি করবেন। আর রিল্যাক্সের সময়ে ব্যায়াম, নিজের শখ বা কেবল বসে চিন্তা করার সময় রাখবেন। এই রিল্যাক্সের সময়গুলি আপনার ফোকাস বাড়াবে, আপনাকে রিচার্জ করবে।

৩. নিজের অভ্যাস আর রুটিন নিয়ে আরেকবার ভাবুন

প্রতিদিন আপনি কি এমন সব কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকেন যেগুলি আপনি সব সময়ই করে আসছেন? আপনি কি আসলেই প্রোডাক্টিভ হচ্ছেন নাকি ব্যস্ত থাকার জন্য ব্যস্ত থাকছেন? নিজের একদম ছোট ছোট কাজগুলিকেও আপনার মূল্যায়ন করে দেখতে হবে। আপনার হয়ত কিছু কাজের অভ্যাস আছে, নির্দিষ্ট একটা রুটিন আছে যা আপনি মেনে চলেন, কিছু দায়িত্ব আছে যেগুলি সব সময় পালন করেন। কিন্ত এত সব কাজ করা মানেই কি আপনি প্রোডাক্টিভ হচ্ছেন, নাকি এগুলি আপনার কেবলই কাজ করার অভ্যাস?

এখন আপনি কিছুটা সময় নিয়ে আপনার কাজগুলি নিয়ে ভাবেন, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোনগুলি। এরপর

দেখেন আপনার কাজের লিস্টের অবস্থা কী দাঁড়ায়। আপনি কি এই লিস্টে কিছু যোগ-বিয়োগ করতে চান? তার আগে আপনাকে প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য কয়েকটা বিষয় থেকে দূরে থাকতে হবে:

  •  কোনো নতুন সুযোগ দেখলেই সেটা করতে চাওয়া
  • অনেকগুলি কাজ একসাথে করতে চাওয়া
  • অল্পতেই মনোযোগ হারিয়ে ফেলা
  • সারাদিন কাজ করেও দিনে কাজের হিসাব মনে করতে না পারা

প্রোডাক্টিভ মানুষদের অনেকগুলি ভাল অভ্যাস থাকে আর তারা সেগুলিতেই জোর দেয়। এই সব কাজ আপনি একসাথে করতে পারবেন না। তবে এর মধ্যে কয়েকটা মেনে চললেও আপনার প্রোডাক্টিভিটি বেড়ে যাবে:

  • সংখ্যার চেয়ে কাজের মানে বেশি গুরুত্ব দিন
  • বড় উদ্দেশ্য পূরণ করে এমন কাজ করুন
  • এক সময়ে কেবল একটা কাজে মনোযোগ দিন
  • কী আপনার মনোযোগ নষ্ট করে সেটা জানেন এবং সেটা দূর করেন
  • দিনে আপনার সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ সময়কে ফোকাসে রেখে শিডিউল তৈরি করেন

৪. কখন কীভাবে “না” বলতে হয় সেটা শিখুন

প্রোডাক্টিভিটির ফাঁদে পড়েছেন? বার্ন-আউট থেকে বাঁচার ৭টি উপায়
নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করবেন। কিন্ত সকল কিছুর সীমা অতিক্রম করার ফলাফল ভালো হয় না।

আমরা যখন মানুষের অনুরোধে সব সময় “হ্যাঁ” বলি, এটা আমাদের মধ্যে বিপত্তি তৈরি করে। কারণ এভাবে আমরা নিজেদের ওপর প্রেসার বাড়িয়ে তুলি। এমনকি আমরা অন্যদের ইচ্ছাকে নিজের ইচ্ছার চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে ফেলি। এতে করে আমাদের স্ট্রেস আরো বেড়ে যায় এবং দেখা যায় অনেক সময়ে আমরা সময় মতো কাজ শেষ করতে পারি না।

অন্যদের অনুরোধ রাখার সময় অনেক ভেবেচিন্তে তারপর “হ্যাঁ” বলবেন। এ ব্যাপারে ডেরেক সিভার-এর নিয়মটা মানতে পারেন।

তিনি বলছেন, যদি কারো কোনো প্রস্তাব শুনে আপনি হেল ইয়াহ (আবার জিগায়) না বলছেন তাহলে ওই বিষয়ে “না” বলে দিন।

এই অভ্যাসটা আপনি ছোট বিষয় দিয়ে শুরু করেন না কেন। যেমন শপিং মলে যখন ক্রেডিট কার্ড করার জন্য সেলসগার্লরা অনুরোধ করে তখন আপনি কম কথায়, ছোট করে একদম সত্য কথাটা বলে দিবেন যে আপনি ক্রেডিট কার্ড নিতে চান না।

আর যদি এমন কোনো বিষয় হয় যাতে আপনার আগ্রহ আছে, কিন্ত এখন সময় নেই, সেক্ষেত্রে একটা তারিখ নিতে পারেন।

৫. নিজেকে অন্যদের সাথে তুলনা করবেন না

টিম কুক সকাল ৩.৪৫-এ ঘুম থেকে উঠে বলে আপনাকেও ওই সময়ে উঠতে হবে বিষয়টা কখনোই এমন না। বিশেষ করে আপনি যদি নাইট আউল হন, তাহলে রাতের বেলাতেই আপনি সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ থাকবেন। তারচেয়ে আপনি টিম কুকের বাকি রুটিন দেখতে পারেন, যেখানে থেকে আপনি অন্য ভালো কিছু অনুসরণ করার মতো পাবেন।

ইলন মাস্ক গর্ব করে বলেন, তিনি সপ্তাহে ৮০-১০০ ঘণ্টা করে কাজ করেন। তার এই পরিশ্রম করার ক্ষমতা আসলেই অসাধারণ। এই পরিশ্রম দিয়েই তিনি বর্তমানে এই অবস্থায় এসেছেন। যদিও দেখা গেছে সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে অনেকের প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। নিজের সাধ্যকে অতিক্রম করার চেষ্টা করবেন। কিন্ত সকল কিছুর সীমা অতিক্রম করার ফলাফল ভালো হয় না।

৬. পেছনে তাকাবেন না

কোনো কাজ শুরু করলে সেটা অবশ্যই শেষ করবেন। একটা লক্ষ্য পূরণ করার পর যে ডোপামিন রাশ হয় সেই অনুভূতি সত্যিই অসাধারণ।

আর এটা জেইগারনিক এফেক্টের (Zeigarnik Effect) সাথে পাল্লা দেয়। জেইগারনিক এফেক্ট বলে, আমরা সব সময় অসমাপ্ত কাজের কথাই বেশি মনে করি, আমাদের সমাপ্ত কাজের চেয়ে। বিষয়টা একদিক দিয়ে ভালো যে এতে আমাদের গড়িমসি করার প্রবণতা দূর হয়। তবে এতে আমাদের টেনশনও বাড়ে। দা ব্লু ট্রি ক্লিনিকের সিবিটি সাইকোলজিস্ট হাদাসসাহ লিপসজিক বলেন, “ফেলে রাখা কাজ নিয়ে গড়িমসি করার অভ্যাস করলে, আমাদের মধ্যে একটা চিন্তার প্যাটার্ন চলে আসে, যেটা খুবই ক্ষতিকর।” তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের চিন্তা বার বার করা থেকে মানুষের ঘুমের সমস্যা হতে পারে, উদ্বেগ দেখা দিতে পারে এবং তার ওপর আবেগতাত্ত্বিক ও মনস্তাত্ত্বিক খুবই বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।”

আরো পড়ুন: আপনার কি সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়?

এই বিষয় অন্য ক্ষেত্রেও খেয়াল করা যায়—যখন মানুষ খুব জটিল কোনো কাজ নিয়ে থাকে, তখন এই অভ্যাস কাজে লাগাতে পারেন। নিজেকে কাজের বিষয়ে প্রেসার না দিয়ে সব চিন্তা কিছুক্ষণের জন্য সরিয়ে রাখুন। হয়ত কিছুটা সময় হেঁটে আসলেন বা অন্য কোনো কাজ নিয়ে বসলেন যেটা করলে আপনি কমফোর্ট বোধ করেন। এমন অভ্যাস আপনার কাজের গতি বাড়াতে সাহায্য করবে।

৭. “লাগোম” দর্শনের চর্চা করতে পারেন

লাগোম হচ্ছে লাইফস্টাইলের একটা সুইডিশ দর্শন। একে বলা যায়, “খুব বেশিও না, খুব কম কমও না”। প্রশ্ন আসতে পারে এর সাথে প্রোডাক্টিভিটির কী সম্পর্ক?

লাগোম দর্শনে আপনাকে সকল কাজে একদম পারফেক্ট হওয়ার প্রেসার নিতে মানা করে। বরং সবকিছুর একটা সহজসাধ্য সমাধান খোঁজার কথা বলে লাগোম। যেমন, নিজেকে স্ট্রেসমুক্ত রাখা, ভালো খাওয়া, রিল্যাক্স সময় কাটানো, জীবন নিয়ে সন্তষ্ট হওয়া—এম্যান্ডা পেনা এভাবেই লাগোমকে ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি আরো বলেন, “এটা হচ্ছে জীবন ও কর্মের এমন ভারসাম্য তৈরি করা, যাতে এর মধ্যকার সবকিছু সুন্দরভাবে বিরাজ করতে পারে।”

কীভাবে জীবনে লাগোমের চর্চা করবেন? এই দর্শনের কয়েকটা বিষয় চাইলে এখনই শুরু করতে পারেন:

  • আপনার ওয়ারড্রোবে জামা কাপড়ের সংখ্যা একদম কমিয়ে ফেলুন আর ঘরেই নিজের খাবার তৈরি করুন। এতে আপনি পরিবেশের উপকার করবেন। আর পাশাপাশি প্রতিদিন আপনার সিদ্ধান্ত নিতে অনেক সময় বেঁচে যাবে
  • আপনার জীবনকে অহেতুক জটিল করবেন না। সহজ চিন্তা করুন, টেনশন নিজেই কমে যাবে। একই সাথে নিজের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমানো কথা ভাবতে পারেন
  • দিনের মাঝামাঝি সময়ে একটা বিরতি নিন
  • খুব চাপ নিয়ে কাজ করবেন না। অনেক দেশই এখন ভাবছে দিনে ৬ ঘণ্টা করে সপ্তাহে ৪ দিন কাজ করার কথা। ওভারটাইম করা বাদ দিন আর ভ্যাকেশনের দিনগুলি কাজে লাগান

অন্য কারো প্ল্যান মেনে চলার দরকার নাই। নিজেই নিজের জন্য বেছে নেন কোনটা ভালো হবে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখুন কোন কাজটা আপনার শরীর ও মনের জন্য সুফল আনছে। সবকিছুর প্রধান উদ্দেশ্য হল নিজেকে বোঝানো যে সব সময় কাজকে পরিবার-জীবন এবং নিজের ভাল থাকার আগে প্রাধান্য দেয়া যাবে না। আপনার জীবন এবং আপনার অগ্রাধিকারগুলির মধ্যে ভারসাম্য নিয়ে আসুন।

সূত্র. এন্টারপ্রেনার ডটকম (মে ১৫, ২০২০)
অনুবাদ. আমিন আল রাজী