“দোজখের গেট ভেতর থেকে বন্ধ থাকে।”
—সি. এস. লুইস (১৮৯৮-১৯৬৩), লেখক ও পণ্ডিত
লুইসের উপরের বক্তব্যের মাধ্যমে ফেক-অ্যাহোলিকরা (Fake-aholic) নিজেদেরকে চিনে নিতে পারেন। অর্থাৎ, তারা তাদের নিজস্ব পছন্দের তৈরি একটি জীবন্ত দুঃস্বপ্নের মধ্যে বসবাস করেন।
ফেক-অ্যাহোলিক কারা?
প্রতিদিনই কঠোর পরিশ্রম করতে করতে ক্লান্ত-শ্রান্ত হয়ে পড়ার পরও যারা নিজেকে খুব উজ্জীবিত দেখান এবং ভান করেন যে সবকিছু ঠিক-ঠাক আছে তাদেরকেই ফেক-অ্যাহোলিক বলে।
ভেতরে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেলেও বাইরে তারা খুব উৎসাহ-উদ্দীপনা প্রদর্শন করেন এবং তাদেরকে নিজের কাজে পুরোপুরি সম্পৃক্ত আছেন বলেই মনে হয়। সহকর্মীদের কাছেও তাদেরকে শান্ত এবং আত্মনিয়ন্ত্রিত কাজপাগল লোক বলে মনে হয়।
ব্রুনা মার্টিনুজ্জি
মাইন্ডটুলস, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০
কিন্তু তাদের ভেতরে থাকে এক ভিন্ন বাস্তবতা। ফেক-অ্যাহোলিকরা কাজ থেকে অনেক কম আনন্দ উপভোগ করেন, এমনকি ভয় পান, কারণ তারা সবসময় কাজের চাপে নিমজ্জিত এবং অবসাদে থাকেন। তারা খুবই দক্ষতার সাথে এই অভিনয়টা চালিয়ে যান যা কেউ লক্ষ্য করে না বা বুঝতে পারে না। ফেক-অ্যাহোলিকরা এই অভিনয়ে এতটাই পারদর্শী যে বাইরে থেকে সবকিছু ঠিকঠাক আছে মনে হয়।
যে বিষয়টি পরিস্থিতি আরো খারাপ করে তোলে তা হলো, তারা ভেতরে যতই খারাপ বোধ করুন না কেন, ফেক-অ্যাহোলিকরা প্রায়শই তাদের বাস্তব পরিস্থিতি অস্বীকার করেন। তারা বুঝতে পারেন না যে, সবসময়ই নিয়ন্ত্রণে থাকার ভান করলে মানসিক যন্ত্রণা, শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি, বার্নআউট এবং অসুস্থতা তৈরি হতে পারে।
ফেক-অ্যাহোলিকরা তাদের বাস্তব অবস্থা অস্বীকার করে কেন?
ফেক অ্যাহোলিকদের মজ্জাগত স্বভাব
ফেক-অ্যাহোলিকরা তাদের ক্লান্তি আড়াল করার জন্য মুখে সবসময় একটি নকল হাসি ধরে রাখেন। তারা তাদের মাথার উপরে থাকা সত্যটি আড়াল করার জন্যও নির্বিকার হয়ে উঠতে পারেন।
এই ধরনের আচরণে তারা এতটাই অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন যে, এটি তাদের মজ্জাগত স্বভাবে পরিণত হয়। এসব অভ্যাসের প্রতি তারা এতটাই অসংবেদনশীলও হয়ে উঠতে পারেন যে এসব তাদের প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় পরিণত হতে পারে। দীর্ঘ সময় ধরে অস্বাভাবিক জীবন-যাপন করলে একসময় তাই স্বাভাবিক মনে হয়।
বিকল্প ভাবতে পারার অক্ষমতা
অনেক ফেক-অ্যাহোলিক হৃদয় থেকে অনুভব করেন যে তারা তাদের পেশাগত জীবন এভাবে কাটাতে চান না। কিন্তু তারা এও অনুভব করতে পারেন যে এই পরিস্থিতি থেকে তাদের কোনো মুক্তি নেই।
যে কারণে ফেক-অ্যাহোলিকরা ভয় করেন যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করলে কেবল হয়ত একটি আবেগের পোর্টাল খুলে যেতে পারে, যার কোনো কার্যকর ফলাফল নেই। বের হওয়ার কোনো রাস্তা তারা দেখতে পান না, তাই, তা নিয়ে আর মাথাও ঘামান না!
ছাঁটাই থেকে রেহাই পাওয়ার অপরাধবোধ
বর্তমান চ্যালেঞ্জিং অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে চাকরি টিকে থাকায় ফেক-অ্যাহোলিকরা চাকরিচ্যুতি থেকে বেঁচে যাওয়ার অপরাধবোধের সম্মুখীন হতে পারেন। ফলে, কাজের চাপ নিয়ে অভিযোগ করার চিন্তা করাটাও তাদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে, যেখানে অন্যরা তাদের চাকরি হারিয়েছে।
তুলনার ফাঁদ
অনেক ফেক-অ্যাহোলিক আবার তুলনার ফাঁদে আটকা পড়েন। তারা নিজেদেরকে অন্য মানুষের সাথে একই ধরনের বা খারাপ পরিস্থিতিতে তুলনা করেন, যারা তা ভাল ভাবে মোকাবিলা করছে বলে মনে হয়। এই তুলনা তাদের মধ্যে নিজেকে দুর্বল দেখানো এবং “ধরা খাওয়ার” ভয়কে শক্তিশালী করে তোলে।
ফেক-অ্যাহোলিজম থেকে মুক্তির ৪টি উপায়
ফেক-অ্যাহোলিজমের ক্ষতিকারক প্রভাবগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা দেয়াল গড়ে তুলতে এবং নিজেকে সাহায্য করার জন্য এই ৪টি সহজ কৌশল বিবেচনা করুন:
১. সাফল্যের ডায়েরি রাখা শুরু করুন
ফেক-অ্যাহোলিকের সাথে একটি আবেগ জড়িয়ে পড়ে, তা হলো অযোগ্য হিসাবে গণ্য হওয়ার ভয়। জ্ঞানের এই টুকরাটি অনেক আগে আমার কোচ আমার সাথে শেয়ার করেন। তিনি বলেছিলেন, “আপনি যদি আবেগের সাথে মোকাবিলা না করেন তাহলে আবেগ আপনাকে মোকাবিলা করবে।“
তার মানে, কোনো আবেগকে এড়িয়ে গেলেই তা আমাদের কাছ থেকে দূর হয়ে যায় না। তারা আমাদের ভেতরেই থেকে গিয়ে আমাদের উদ্বেগ বাড়ায় এবং স্মৃতি রোমন্থনকে আরো তীব্র করে তোলে। সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, আবেগের প্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করলে তা আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং ভালো থাকাকে বিপন্ন করে তুলতে পারে।
অযোগ্য হিসাবে গণ্য হওয়ার ভয়কে দূর করার একটি উপায় হল সাফল্যের ডায়েরি রাখা শুরু করা। প্রতি কর্মদিবস শেষে নিজেকে জিজ্ঞেসা করুন, “আজ আমি কী কী অর্জন করেছি?” আপনার প্রতিদিনের সাফল্যগুলি লিখে রাখুন, তা যত বড় বা ছোট হোক না কেন। যেমন:
• আপনি কি আপনার টিমে ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করেছেন, এমনকি তা ভার্চুয়াল হলেও?
• আপনি কি অন্য কাউকে সাহায্য করার জন্য আপনার কিছু সময় দিয়েছেন?
• আপনি কি এমন কাউকে প্রশংসা করেছেন যিনি কারো নজরে পড়েননি?
• আপনি কি কৃতজ্ঞতার সাথে নিজের কোনো ভুল স্বীকার করেছেন?
• আপনি কি এমন কোনো ভার্চুয়াল উপস্থাপনা করেছেন যা খুব ভাল হয়েছে?
• আপনি কি কঠিন কোনো কথোপকথনের সময় মন খোলা রেখেছিলেন?
• আপনি কি বুদ্ধিমান কোনো সিদ্ধান্ত নিয়েছেন?
• আপনি কি নতুন কোনো সফটওয়্যার কীভাবে ব্যবহার করতে হয় তা বুঝতে পেরেছেন?
• আপনি কি আপনার পরিবারের প্রয়োজন পূরণে যত্নবান হয়েছেন?
• আপনি কি আপনার ডিপার্টমেন্ট বা সংস্থার মান বাড়ানোর জন্য কিছু করেছেন?
• আপনি কি কারো মেন্টর হওয়ার সুযোগ নিয়েছেন?
প্রতিদিনই আপনার কোনো না কোন বড় বা ছোট সাফল্য অর্জিত হয়, যা একদিন পরই অচেনা হয়ে যেতে পারে। এই সাফল্যের হিসাব রাখার মধ্য দিয়ে আপনি যা যা অর্জন করেছেন তার একটা মূল্যায়ন করতে পারবেন।
২. ফেক-অ্যাহোলিক তুলনা থেকে বের হয়ে আসুন
আপনি যখন নিজের মতোই হওয়ার সিদ্ধান্ত নেবেন তখনই আপনার আত্মবিশ্বাস শুরু হবে। নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করলে কেবলই দুর্ভোগ বাড়বে। তার পরিবর্তে, আপনি অতীতে কী ছিলেন আর এখন কী হয়েছেন তার বিপরীতে নিজেকে পরিমাপ করুন। আপনি কয়েক বছর, কয়েক সপ্তাহ, বা ঠিক গতকালেও ফিরে যেতে পারেন। নিজেকে জিজ্ঞেস করুন, “আমি কি গতকালের চেয়ে আজ ভালো আছি? যদি না হয়, আমি আগামিকাল আরো ভাল করার জন্য কী শিখতে পারি?”
নিজের বৃদ্ধি মূল্যায়ন এবং নিজেকে আরো উন্নত করার জন্য অনুপ্রেরণা যোগানোর সবচেয়ে অর্থবহ উপায় হলো আত্ম-তুলনা।
৩. সাপোর্ট নেটওয়ার্ক তৈরি করুন
নিজের “ব্যর্থতা” মোকাবেলায় আপনি হয়তো লজ্জা বোধ করতে পারেন। তাই নিজেকে এমন লোকদের দিয়ে ঘিরে রাখুন যারা আপনার ওপর আস্থা রাখেন, এবং আপনার “খুঁত” থাকা সত্ত্বেও আপনাকে সাপোর্ট করেন। এরা হতে পারে সহকর্মী, পরিবার বা বন্ধু।
আপনি যদি আবিষ্কার করেন যে, আপনি একা নন, তাহলে অবাক হবেন না, অনেকেই, বিশেষ করে সংকটের সময়ে, ভয়াভিভূত হয়ে পড়েন এবং তা অস্বীকার করেন।
সহকর্মীদের কাছে সাহায্য চাওয়াটা বিশেষত ভয়ঙ্কর মনে হতে পারে, তবে সম্ভাবনা রয়েছে যে তারা আপনার ওপর থেকে চাপ কমাতে পেরে খুশিই হবে এবং এর ফলে আপনার কাজের সম্পর্কও শক্তিশালীই হবে, দুর্বল নয়।
দিক-নির্দেশনা বা আপনার মাথায় আসেনি এমন সমাধান দিতে সক্ষম বিভিন্ন গ্রুপের সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করুন। সমমনা মানুষের সাথে কথা বলা অন্যতম সেরা আত্ম-প্রশান্তিমূলক কাজ।
৪. বিরতি নিন!
প্রচুর কাজের চাপ থাকা সত্ত্বেও আপনার যদি নতুন কাজকে “না” বলতে সমস্যা হয়, তাহলে আপনার কর্মক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে। সব সময় অতিরিক্ত কাজের চাপ মাথায় নিয়ে থাকলে আপনি আপনার সেরা পারফর্মেন্স দেখাতে পারবেন না। সুতরাং, সময়সীমার মধ্যে কাজ শেষ করা এবং শান্তি শান্তি ভাব বজায় রাখার চেষ্টা করার পরিবর্তে, আপনার আত্ম-বিচারের বিরুদ্ধে লড়াই করুন এবং বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার সাহস করুন।
বিশেষ করে আপনি যখন উদ্বিগ্ন বোধ করা শুরু করবেন, তখন সরে আসুন এবং নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সময় নিন। কোন বিষয়গুলি আপনাকে গ্রাস করছে তা নিয়ে চিন্তা করুন এবং আপনি যে অংশ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তার ওপর মনোযোগ দিন। আপনি কি ডেডলাইন বা কাজের শেষ সময়সীমা নিয়ে দরকষাকষি করতে পারেন, অথবা আপনার কিছু কাজ টিমের অন্য সদস্যদের দিয়ে করিয়ে নিতে পারেন?
কম কাজ করেও আপনি কখনো কখনো অনেক বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
আপনার টিমে যদি ফেক-অ্যাহোলিক সদস্য থাকে তাহলে কী করবেন?
টিমের সদস্যদেরকে ফেক-অ্যাহোলিজম মোকাবেলা করতে এবং এমনকি তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করার জন্য আপনি অনেক উদ্যোগ নিতে পারেন। যেমন:
তাদের নিরাপদ বোধ করতে সাহায্য করুন
একজন টিম মেম্বার যখন আপনার কাছে মন খুলে কথা বলতে পারবে তখন সহানুভূতি এবং বোঝাপড়া অনেক দূর এগিয়ে যায়। তাই তাদের যা বলার আছে তা মন দিয়ে এবং শ্রদ্ধার সাথে শুনতে ভুলবেন না যেন।
এরপর তাদেরকে নিজে নিজে বুঝতে সাহায্য করুন যে তারাই শুধু ভয়াভিভূত হয় না বরং প্রত্যেককেই তাদের জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে এমন ভয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়। এর উদাহরণ হিসাবে আপনার নিজের এমন একটি ব্যক্তিগত গল্প শেয়ার করুন, যা আপনার বক্তব্যকে আরো শক্তিশালী করবে।
তাদের অসততাগুলির ব্যাপারে সতর্ক থাকুন
আপনার কর্মীরা যদি ফেক-অ্যাহোলিক আচরণের কথা স্বীকারও করেন, তবুও তাদের কাছে নিজেদের বা আপনার প্রতি সৎ থাকা কঠিন মনে হতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন এটা সম্ভবত ভয় এবং লজ্জার কারণে ঘটছে, যা বিদ্বেষপ্রসূত নয়।
তাদের ভাষার প্রতি মনোযোগ দিন এবং কোনো অবাস্তব আশাবাদী প্রতিশ্রুতিতে শূন্য থাকুন। তাদের করণীয় কাজের তালিকা নিয়ে আলোচনা করুন এবং লাইনের মাঝখানের কথা বোঝার চেষ্টা করুন। তাদের কাজের ধরন পর্যবেক্ষণ করুন: তারা কত ঘণ্টা কাজ করছে, এবং তারা কি টেকসই?
দোষারোপ বা জাজমেন্ট ছাড়াই তাদের ব্যাপারে আপনার উদ্বেগগুলি চিহ্নিত করুন। তাদের ওপর দায় চাপানোর পরিবর্তে, তাদের পক্ষ নিয়ে ওকালতি করুন। এটি একটি দয়ালু এবং উদার উপহার যা আপনি সহজেই তাদের দিতে পারেন।
তাদের হৃদয়কে উৎসাহিত করুন
তাদের দেখান যে তাদের প্রতি আপনার আস্থা আছে এবং তাদেরকে নিজের টিমে পেয়ে আপনি খুশি হয়েছেন। তাদের কৃতিত্ব এবং অবদানের পোর্টফোলিও দেখুন এবং তারা আপনার প্রতিষ্ঠানে যে মূল্য যোগ করে তার উপর জোর দিন।
মনে রাখবেন, আমাদের সকলের মধ্যেই একটি রূপক বালতি রয়েছে যা স্বীকৃতি দিয়ে ভরে রাখা প্রয়োজন। একজন ফেক-অ্যাহোলিককে নিজের প্রশংসা করতে সাহায্য করার মাধ্যমে তাকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
তাদের ওপর থেকে চাপ কমাতে সহযোগিতা করুন
তাদেরকে খুব কম সময়ে খুব বেশি কিছু করতে হবে না এটা নিশ্চিত করুন। দায়িত্ব পালন সহজ করার জন্য তাদের অতিরিক্ত কোনো রিসোর্স লাগবে কিনা তা জিজ্ঞেস করুন।
তাদের ওপর কাজের চাপ কমানোর জন্য তাদের এক বা দুটি প্রকল্প টিমের অন্য সদস্যদের জন্য পুনরায় বরাদ্দ করার বিষয়ে আলোচনা করুন। কিন্তু তারা হয়তো সাহায্যের প্রয়োজন আছে এমনটা নাও স্বীকার করতে পারে। তাদেরকে আশ্বস্ত করুন যে তাদের ওপর কাজের চাপ কমানোর জন্যই শুধু এমনটা করা হচ্ছে এবং এর মধ্য দিয়ে তদেরকে ব্যর্থ বলে গণ্য করা হবে না।
আপনি যদি একজন ফেক-অ্যাহোলিক হয়ে থাকেন, তাহলে এটা জেনে সান্ত্বনা নিন যে, এটি কাটিয়ে ওঠা সহজ না হলেও সম্ভব। নিজেকে অসহায় মনে করার দরকার নেই। নিজের বাস্তব অবস্থা স্বীকার করুন এবং সাহায্য চান। সর্বোপরি, যেসব বিষয় সঠিকভাবে পান সেগুলিতে মনোনিবেশ করুন এবং যেমন আছেন তেমনভাবেই নিজেকে গ্রহণের অনুশীলন করুন। নিজেকে নিজের মতো করেই মেনে নিতে পারা একটি উপহার, যা আমরা নিজেকে দিতে পারি। এটা নিজের ওপর নিজের আস্থার উপহার।
অনুবাদ: মাহবুবুল আলম তারেক