আমার দেখা ২০১৬ এর সবচেয়ে সেরা সিনেমা অ্যারাইভাল। এবং গত কয়েক বছরের সায়েন্স ফিকশন সিনেমাগুলির মধ্যে একেবারে উপরের দিকে থাকবে অ্যারাইভাল। এক নাম্বার অথবা দুই নাম্বার অবস্থানে।

অ্যারাইভাল সিরিয়াস সিনেমা। এবং ডীপ।

আমি অ্যারাইভাল দেখেছি অন্তত দুই মাস আগে। লেখা শুরু করার আগে খুঁজে দেখলাম সিনেমাটা আমার কাছে এখন আর নাই। আমি অ্যারাইভাল এর পিছনের সায়েন্স বা সায়েন্স ফিকশন হিসাবে এর গ্রাউন্ড নিয়ে কিছু বলব।


এই সিনেমার গল্প বা ডিটেইল কিছু বলব না, তাই এখানে তেমন বড় কোনো স্পয়লারও থাকবে না। তবে অ্যারাইভালের সায়েন্স এবং স্টোরি আউটলাইন নিয়ে বলার কারণে মাইল্ড স্পয়লার হয়ত থাকবে।


আশরাফুল আলম শাওন


পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় রহস্যময় কিছু এলিয়েন এসে পৌঁছেছে। তাদের স্পেসশিপ মাটি থেকে বেশ অনেক উপরে ভেসে থাকে। সেই স্পেসশিপের মধ্যে তারা আছে। এই এলিয়েনরা দেখতে কিছুটা অক্টোপাসের মত, শূন্যে ভাসতে ভাসতে চলাচল করে। এদের নাম দেওয়া হয়েছে হেপটাপড। গ্রিক ভাষায় হেপটা শব্দের অর্থ সাত, এবং পড শব্দের অর্থ পা-বিশিষ্ট কোনো প্রাণী।

এই হেপটাপডরা কী চায়, তাদের পৃথিবীতে আসার উদ্দেশ্য কী? তারা কি কোনো টেকনোলজি দিয়ে মানব জাতিকে হেল্প করতে চায়? তারা মানব জাতির সাথে যুদ্ধ করতে চায়?—এইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে হেপটাপডদের সাথে কথা বলতে হবে। সেজন্য তাদের ভাষা বুঝতে হবে।

অ্যারাইভাল
হেপটাপডরা কেন পৃথিবীতে এসেছে তা জানতে হবে। লুইজ ব্যাঙ্কস মনে করে যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেজন্য তাকে অবশ্যই হেপটাপডদের ভাষা বুঝতে হবে।

হেপটাপডদের ভাষার অর্থ বের করার দায়িত্ব দেওয়া হয় ভাষাতত্ত্ববিদ লুইজ ব্যাংকসকে।

হেপটাপডদের আওয়াজ অদ্ভুত, অনেকটা ডলফিনদের শব্দের মত। ব্যাঙ্কস এই আওয়াজ ধরতে পারে না। সে হেপটাপডদের সাথে লিখিত মেসেজ আদান-প্রদান করার চেষ্টা করে দেখে হেপটাপডরা কালি দিয়ে বৃত্তাকার আকৃতির কিছু চিহ্ন তৈরি করে। অনেকটা লোগোর মত।

এই ভাষার গ্রামার কী? সিনট্যাক্স কী? এগুলি কিছুই বোঝার উপায় নেই। অর্থ বোঝা তো তারও পরের ব্যাপার। আর ভাষা বলতে আমরা যা বুঝি হেপটাপডদের এসব চিহ্ন কি সেই একই জিনিস কিনা তাও বোঝা যাচ্ছে না।

পৃথিবীর বাইরে মহাবিশ্বের কোথাও যদি কোনো বুদ্ধিমান প্রাণের অস্তিত্ব থেকে থাকে এবং কোনোদিন যদি তাদের সাথে আমাদের দেখা হয় তাহলে কি দুই পক্ষের যোগাযোগ ঘটবে? বা যোগাযোগ আদৌ সম্ভব হবে?—ইউনিভার্সে বুদ্ধিমান প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা এই প্রশ্নের সাথে সাথে এই প্রশ্নটাও সমান গুরুত্বপূর্ণ যে তাদের সাথে যোগাযোগ সম্ভব কিনা। কারণ হিউম্যান রেস পারস্পরিক যোগাযোগের জন্য ভাষার উপর নির্ভরশীল।

হেপটাপডরা কালি দিয়ে বৃত্তাকার আকৃতির কিছু চিহ্ন তৈরি করে। অনেকটা লোগোর মত।

আসলে শুধু যোগাযোগের কথা বললে মানব জাতির সাথে ভাষার সম্পর্ককে এভয়েড করা হয়। মানুষের জগত, বাস্তবতা সবকিছুই অ্যাবস্ট্রাক্টভাবে ভাষা দিয়ে তৈরি।

ক্ল্যাসিক্যাল সায়েন্স ভাষাকে অবজেক্ট হিসেবে ডিল করতে পারে না দেখে ভাষা বা ল্যাংগুয়েজের আইডিয়াকে সে মেটাফিজিক্সের দিকে ঠেলে দেয়। ক্ল্যাসিক্যাল সায়েন্স ল্যাংগুয়েজের আইডিয়াকে খুবই অ্যাবস্ট্রাক্ট জিনিস হিসাবে দেখে।

কিন্তু কম্পিউটার সায়েন্স এর কারণে ভাষা এবং ভাষার আইডিয়া এখন হার্ডকোর সায়েন্সের বিষয়। কম্পিউটার কী আচরণ করবে সেই প্রোগ্রাম তৈরি করতে হচ্ছে নির্দিষ্ট সিনট্যাক্স অর্থাৎ ভাষা দিয়ে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সকেও প্রোগ্রাম করা হচ্ছে সিনট্যাক্স অর্থাৎ ভাষা দিয়ে।

একজন মানুষ যখন একদম ছোট থেকে বড় হতে থাকে, সে যখন ভাষা শিখতে থাকে তখন সেই ভাষার মাধ্যমে তার ব্রেইনের প্রোগ্রামিং হয়। ভাষার সিনট্যাক্স, অর্থাৎ কোন শব্দের পর কোন শব্দ কীভাবে বসে অর্থ তৈরি করবে—সিনট্যাক্সের এই লজিক দিয়েই ব্রেইন পরবর্তীতে কাজ করে।

সিনট্যাক্সের এই লজিক দিয়েই ব্রেইন সব কিছু প্রসেস করে। এবং মানুষের ব্রেইন বা কগনিটিভ সিস্টেম ল্যাংগুয়েজকেই ইনপুট হিসেবে নেয় এবং আউটপুট হিসেবে ল্যাঙ্গুয়েজকেই প্রসেস করে। আপনি যখন চুপ করে কিছু দেখতে থাকেন, আপনার ব্রেইনে ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসড হয়েই সেই দৃশ্য তৈরি হয়। আপনার ব্রেইন যখন কোনো স্মৃতি তৈরি করে, সেই স্মৃতিকে সে ল্যাঙ্গুয়েজ হিসেবেই স্টোর করে রাখে।

মানুষের ব্রেইন প্রসেসর হিসেবে কাজই করে সিনট্যাক্স অর্থাৎ ভাষার লজিকে। এমনকি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিও যখন অর্থহীন কথা বলে, সে পরিচিত সিনট্যাক্সের বাইরে কিছু বলে না।

মানুষ যেদিন প্রথম আগুন জ্বালাতে শিখেছিল সেদিন সভ্যতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় নি, মানুষ যেদিন প্রথম ভাষা ব্যবহার করেছিল সেটাই ছিল সভ্যতার ভিত্তিপ্রস্তর। সিনেমার প্রথম দিকেই এই জিনিসটা অ্যাস্টাব্লিশ করা হয়।

যদি অন্য কোনো বুদ্ধিমান প্রাণীর বুদ্ধিমত্তার বিকাশ ভাষার সিনট্যাক্স নির্ভর না হয় তাহলে মানুষ তাদের সাথে ইন্টার‍্যাক্ট করার মত, ডাটা সংগ্রহ করার মত অবস্থায় নেই।

এই সমস্যা নিয়েই অ্যারাইভাল

ছবিতে ফিজিসিস্ট গ্যারি ডোনেলি ও ভাষাতত্ত্ববিদ লুইজ ব্যাঙ্কস। মূল গল্পে ফিজিসিস্ট গ্যারি ডোনেলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

হেপটাপডরা কেন পৃথিবীতে এসেছে তা জানতে হবে। লুইজ ব্যাঙ্কস মনে করে যাতে কোনো ভুল বোঝাবুঝি না হয়, সেজন্য তাকে অবশ্যই হেপটাপডদের ভাষা বুঝতে হবে। তাই সে হেপটাপডদের এই লোগোর মত ভাষার অর্থ উদ্ধার করার চেষ্টা করতে থাকে, তাদের গ্রামার শেখার চেষ্টা করতে থাকে।

একটা অর্থপূর্ণ কনভারসেশনের জন্য হেপটাপডদের এই চিহ্নগুলির সিনট্যাক্সের লজিক জানতে হবে।

লুইজ ব্যাঙ্কস যখন তাদের ভাষা বা সিনট্যাক্সের লজিক বোঝা শুরু করে তখনই আসল ম্যাজিক ঘটে। এইটা গ্রেট। মেসমারাজিং। হেপটাপডদের ভাষার মাধ্যমে ব্যাঙ্কসের ব্রেইনের আবার প্রোগ্রামিং ঘটে। এই ভাষার সিনট্যাক্সে ব্যাঙ্কসের ব্রেইন প্রোগ্রামড হয়।

থিওরেটিক্যালি এটাকে বলা হয় সেপির-হোর্ফ হাইপোথিসিস। এই হাইপোথিসিস অনুযায়ী মানুষের কগনিশন বা মেন্টাল অ্যাকশনের পদ্ধতি ও সীমাবদ্ধতা নির্ধারণ করে দেয় তার ভাষার স্ট্রাকচার। যেটাকে বলা হয় সিনট্যাক্স। অর্থাৎ আপনি যখন নতুন একটা ভাষা শিখেন, সেই ভাষার সিনট্যাক্সে আবার আপনার ব্রেইনের প্রোগ্রামিং হয়। ল্যাংগুয়েজ শেইপস ইয়োর রিয়ালিটি।

লুইজ ব্যাংকসের ক্ষেত্রে এটাই ঘটে।

হেপটাপডদের জন্য টাইম জিনিসটা আমাদের মত লিনিয়ার না। আমাদের রিয়ালিটিও টাইমের এই আইডিয়া অনুযায়ীই ঘটে—আগে অ্যাকশন বা কজ, পরে তার এফেক্ট বা ফলাফল। কিন্তু হেপটাপডদের জন্য টাইম লিনিয়ার কোনো জিনিস না, তাদের জন্য টাইমের আইডিয়া একটা সম্পূর্ণ ব্যাপার, সিকোয়েন্স বা কোনো অর্ডার অনুযায়ী চলার ব্যাপার নেই। হেপটাপডদের ওই ভাষার সিনট্যাক্স টাইমের এই আইডিয়া নির্ভর। তাই তাদের ভাষা বা চিন্তা সিকোয়েন্স অনুযায়ী ঘটে না। তাদের ওই বৃত্তাকার চিহ্নে একই সাথে কজ এবং ইফেক্ট থাকে। হেপটাপডদের চিন্তা অ্যাকশন থেকে ফলাফলের দিকে যায় না, তাদের চিন্তায় অ্যাকশন আর ফলাফল একই সাথে থাকে।

একজন পদার্থবিজ্ঞানীর সাহায্য নিয়ে লুইজ ব্যাঙ্কস হেপটাপডদের ভাষার এই সিনট্যাক্স বা গ্রামার ধরতে পারে। এরপর থেকে লুইজ ব্যাঙ্কসও টাইমকে সিকোয়েনশিয়াল বা লিনিয়ার না দেখে পুরোপুরিভাবে দেখতে থাকে। একই সাথে কজ এবং এফেক্ট। অর্থাৎ বর্তমান ও ভবিষ্যৎ। যেহেতু ভবিষ্যৎ দেখা যায়, তাই সহজেই বর্তমানের ডিসিশন নেওয়া যায়।

ব্যাঙ্কসের পক্ষে এলিয়েন হেপটাপডদের ভাষার অর্থ বের করা সম্ভব হয় বলেই হেপটাপডদেরকে আর আক্রমণ করা হয় না। তারা চলে যায়।

অ্যারাইভাল সিনেমা বানানো হয়েছে এই সময়ের আমেরিকান সায়েন্স-ফিকশন লেখক টেড চিয়াং এর ‘স্টোরি অব ইয়োর লাইফ’ গল্প থেকে। আমি টেড চিয়াং এর লেখার খুবই ভক্ত। ‘স্টোরি অব ইয়োর লাইফ’ গত বেশ কয়েক বছরের সবচেয়ে সেরা সায়েন্স ফিকশন এর একটি।

অ্যারাইভাল ছবির দৃশ্য

মূল গল্পের সাথে সিনেমার কোনো বিরোধ নেই। তবে মূল গল্পে কিছু জিনিস একটু অন্যভাবে ঘটে। এ কারণে সিনেমাটি দেখলে, যারা ফিজিক্সের ব্যাপারগুলি জানে তারা বুঝতে পারবে জিনিসটা কীভাবে কাজ করে, যারা জানে না তারা বুঝবে না কোন ফিজিক্স অনুযায়ী হেপটাপডদের এই সিনট্যাক্স কাজ করছে।

আমি গল্পটি পড়েছি, তাই পিছনের ফিজিক্স নিয়ে কিছু বলি।

গল্পে গ্যারি ডনেলি নামে একজন ফিজিসিস্টের চরিত্র আছে। সিনেমাতে এই চরিত্রের তেমন প্রাসঙ্গিকতা নেই। সিনেমাতে সে লুইজকে টাইমের আইডিয়া দেয়।

কিন্তু মূল গল্পে ফিজিসিস্ট গ্যারি ডোনেলি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সে হেপটাপডদের ফিজিক্স কীভাবে কাজ করে সেটা ধরতে পারে, এবং সেটা থেকেই পরে ভাষাতত্ত্ববিদ লুইজ ব্যাঙ্কস তাদের ভাষার সিনট্যাক্স আবিষ্কার করে। সিনেমাতে এই ফিজিক্স ডিপেন্ডেন্সির ব্যাপারটা সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

অ্যারাইভাল ২০১৬
অ্যারাইভাল-এর লস অ্যানজেলস প্রিমিয়ারে আমেরিকান সায়েন্স ফিকশন রাইটার টেড চিয়াং (জন্ম. ১৯৬৭)। তিনি অ্যারাইভাল গল্পের মূল লেখক।

মূল গল্পে হেপটাপডদের জগতকে বোঝানো হয়েছে ফিজিক্সের দ্য লীস্ট অ্যাকশন প্রিন্সিপালস দিয়ে। সবচেয়ে কম অ্যাকশন ব্যবহার করে কোনো কাজ করা, সবচেয়ে ছোট পথ ব্যবহার করে ডেস্টিনেশনে পৌঁছানো। আলোগতিবিদ্যায় ফারমেটের প্রিন্সিপাল দিয়ে এই জিনিসটা সহজে বোঝা যায়।

ফারমেটের প্রিন্সিপাল অনুযায়ী, কোনো আলোকরশ্মিকে যাত্রা শুরু করার আগেই তার গন্তব্য জানতে হয়। আলোকরশ্মি আগে তার গন্তব্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়, তারপর সবচেয়ে সহজ পথে সেই গন্তব্যে পৌঁছায়। সবচেয়ে কম সময় খরচ করে ডেস্টিনেশনে যায়।

আমাদের মানুষের ক্ষেত্রে যেটা ঘটে, আমরা যেতে যেতে দেখলাম রাস্তার মাঝখানে একটা নদী। এটা কজ। আমরা আমাদের রাস্তা পরিবর্তন করলাম—এটা এফেক্ট। আমরা মানুষদের কনসাশনেস এই সিকোয়েনশিয়াল ওয়েতে কাজ করে।

কিন্তু হেপটাপডদের কনসাশনেস ফারমেটের প্রিন্সিপাল অনুযায়ী কাজ করে। তারা আগেই জানে তাদের ভবিষ্যতে কী হচ্ছে। লীস্ট অ্যাকশন প্রিন্সিপালে তারা ডিসিশন নেয়। তাদের ভাষা বা সিনট্যাক্সের লজিক এভাবেই কাজ করে।

মূল গল্পে দেখা যায়, ডনেলি হেপটাপডদের এই ফিজিক্স ডিরাইভ করতে পারে বলেই হেপটাপডদের ভাষার গ্রামার বা সিনট্যাক্স বের করা সম্ভব হয়।

একবার দেখলাম, খুবই জনপ্রিয় থিওরেটিক্যাল ফিজিসিস্ট মিচিও কাকু বলেছেন মেবি গড ইজ এ ম্যাথমেটিশিয়ান।

এই কথা নিয়ে আমার সমস্যার কথাটা বলি।

ছবির সেটে ফ্রেঞ্চ-কানাডিয়ান পরিচালক দ্যনি ভিলনোভ (জন্ম. ১৯৬৭)

প্রকৃতি বা নেচার যেভাবে কাজ করে, নেচারের শৃংখলা বোঝার ভাষা হচ্ছে ম্যথমেটিক্স। নেচারের ক্যাওস এবং অর্ডার বোঝার জন্য মানুষ একটা ল্যাংগুয়েজ ও সিনট্যাক্স ডেভেলপ করেছে সেটাই হচ্ছে ম্যাথমেটিক্স।

কিন্তু যেখানে এই ক্যাওস এবং অর্ডারের আইডিয়াই নেই, সেখানে ম্যাথমেটিক্স এর অস্তিত্ব নেই। যেখানে শৃংখলা প্রকাশের জন্য নেচারের কোনো সিনট্যাক্সের দরকার নেই সেখানে ম্যাথমেটিক্স খাটে না।

মিচিও কাকু বলেছেন, আমরা হয়ত একটা ম্যাট্রিক্সের মধ্যে আছি।

এই কথাটা আমাদের জন্য হয়ত সত্য, কারণ আমাদের জন্য ক্যাওস এবং অর্ডারের ধারণা আছে। কিন্তু যেখানে তা নেই, সেখানে ম্যাথমেটিক্স নেই, অর্থাৎ ম্যাট্রিক্স নেই।

মিচিও কাকু আমার পছন্দের। তার আইডিয়া আমি গ্রহণ করি।

তবে আমি বলব যে, ‘গড ইজ এ ম্যাথমেটিশিয়ান—দিস স্টেটমেন্ট ইজ ট্রু ফর আস, নট ট্রু ফর গড।