বিশ্বের বৃহত্তম অ্যাপ স্টোর কোনগুলি?

২০২০ সাল প্রায় শেষ হয়ে আসছে। এর মধ্যেই সম্প্রতি করা হিসাব অনুসারে অ্যাপ স্টোরগুলির মধ্যে গুগল প্লে স্টোরে সবচেয়ে বেশি অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা এখন প্রায় ২.৮৭ মিলিয়ন অ্যাপ্লিকেশনের মধ্য থেকে তাদের পছন্দের অ্যাপ বেছে নিতে পারছে।

এদিকে অ্যাপল অ্যাপ স্টোর হলো দ্বিতীয় বৃহত্তম অ্যাপ স্টোর। অ্যাপলের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ব্যবহারকারীদের জন্যে তাদের স্টোরে ১.৯৬ মিলিয়ন অ্যাপ রয়েছে। অবশ্য এই স্টোরগুলিতে থাকা অ্যাপের সংখ্যা নির্ভুলভাবে জানা সম্ভব না। কারণ অ্যাপল এবং গুগল তাদের অ্যাপ স্টোর থেকে প্রতিনিয়তই নিম্ন মানের অ্যাপ্লিকেশন সরিয়ে ফেলে।

তবে সময়ের সাথে সাথে এই দুটি অ্যাপ স্টোরেই অ্যাপ্লিকেশনের সংখ্যা বাড়ছে।

 

গড়ে একটি অ্যাপের দাম কত?

সাধারণত বেশ কয়েকটা পদ্ধতিতে অ্যাপ্লিকেশন থেকে আয় করা যায়। প্রথমত অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের জন্যে ব্যবহারকারীদেরকে নির্দিষ্ট মূল্য চার্জ করা হয়। আবার, নির্দিষ্ট মূল্য পরিশোধের বিনিময়ে ব্যবহারকারীরা বিশেষ কিছু ফিচার ব্যবহার করতে পারেন। অথবা ফ্রি অ্যাপে বিজ্ঞাপনের জন্যে জায়গা ভাড়া দিয়ে সেখান থেকে আয় করা যায়।

সাম্প্রতিক হিসাব অনুযায়ী, অ্যাপ স্টোরগুলি থেকে কেনা অ্যাপের মূল্য পড়ে গড়ে ১.০২ মার্কিন ডলার। এদিকে গুগল প্লে স্টোরে সবচেয়ে বেশি অ্যাপ থাকলেও অ্যাপ স্টোরের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি আয় করছে অ্যাপল। ২০২০ সালের শেষের অংশেই সারা বিশ্বের অ্যাপল গ্রাহকরা অ্যাপের পিছনে প্রায় ১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। গুগল প্লে প্লাটফর্মের ক্ষেত্রে এই সংখ্যা ১০.৩ বিলিয়ন ডলার।

 

অন্যান্য অ্যাপ স্টোর

ডাউনলোড এবং খরচের ক্ষেত্রে অ্যাপল এবং গুগল এগিয়ে থাকলেও বিশ্বব্যাপী আরো কিছু অ্যাপ স্টোর সফলভাবে নিজেদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যেমন, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্যে অ্যামাজন অ্যাপস্টোরে প্রায় ৪৫০,০০০ অ্যাপ্লিকেশন রয়েছে।

অ্যামাজন অ্যাপস্টোরে থাকা অ্যাপগুলির মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় কয়েকটা ক্যাটাগরি হলো শিক্ষামূলক, গেমিং এবং ইউটিলিটি ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন।

এছাড়াও বাজারে চাইনিজ বেশ কিছু থার্ড-পার্টি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোরও রয়েছে। সেগুলির মধ্যে অন্যতম হলো টেনসেন্ট অ্যাপ স্টোর। চলতি বছরের জুলাই মাসে করা হিসাব অনুসারে এই স্টোরে প্রায় ১০০,০০০ অ্যাপ ছিল।