বিশ্বজুড়ে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা কত?

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। ২০২০ সালের শেষ তিন মাসের ওপরে করা জরিপ অনুসারে, সক্রিয়ভাবে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৮ বিলিয়ন। ২০১২ সালের শেষাংশে এর সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সক্রিয় ব্যবহারকারী বলতে যারা ৩০ দিনের মধ্যে ফেসবুকে লগইন করেছেন। ফেসবুকের প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২০ সালের অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে ৩.৩ বিলিয়ন মানুষ প্রতিমাসে ফেসবুকের কোনো না কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করেছেন। ফেসবুক ছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির যেসব প্রোডাক্ট রয়েছে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো মেসেঞ্জার, ওয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রাম।

 

ফেসবুকের যাত্রা যেভাবে শুরু

ব্যবহারকারীর সংখ্যা এবং প্রচারের ভিত্তিতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। হার্ভার্ডের শিক্ষার্থী মার্ক জাকারবার্গ আর তার কয়েকজন সহকর্মী মিলে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। প্রথম দিকে শুধুমাত্র হার্ভার্ডের শিক্ষার্থীরাই ব্যবহার করতে পারতেন ফেসবুক। আস্তে আস্তে আইভি লীগ ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের জন্যেও এই যোগাযোগ মাধ্যম উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে ফেসবুকের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, কমপক্ষে ১৩ বছর বয়সী বিশ্বের যেকোনো দেশের মানুষই ব্যবহার করতে পারবেন এই প্লাটফর্ম। ২০২০ সালের অক্টোবরে করা জরিপ অনুসারে, সব দেশের মধ্যে ভারতে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

 

যেভাবে কাজ করে ফেসবুক

ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করা বা তাদেরকে ফ্রেন্ডলিস্টে যুক্ত করার জন্যে বিনামূল্যে একটি ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট খোলা লাগে। আর এজন্যে প্রথমেই নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করতে হয়। ব্যবহারকারীরা তাদের কর্মক্ষেত্র বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবার সাথে গ্রুপের মাধ্যমে আলাদাভাবে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া ফ্রেন্ডলিস্টের মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক অনুযায়ী তাদেরকে আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি বা লিস্টেও তালিকাভুক্ত করে রাখা যায়। ফ্রেন্ডলিস্টের সবার সঙ্গে মেসেজের মাধ্যমেও যোগাযোগ করা যায়। ব্যবহারকারীরা তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাস, লেখা বা অন্যান্য কন্টেন্ট আপলোড করতে পারেন। আবার ফটো-শেয়ারিং অ্যাপ ইন্সটাগ্রাম ছাড়াও ফেসবুকের মালিকানাধীন অন্যান্য গেমস এবং অ্যাপ্লিকেশনও ব্যবহার করতে পারেন তারা।

 

মোবাইলে ফেসবুক

২০২০ সালের অক্টোবর পর্যন্ত করা হিসাব অনুসারে, বেশিরভাগ মানুষই মোবাইল ডিভাইসের মাধ্যমে ফেসবুক চালান। আর মোবাইলের মাধ্যমে সহজে চালানোর সুবিধা থাকায় ভারতের মতো যেসব দেশের নাগরিকরা প্রাথমিকভাবে মোবাইল ব্যবহার করেন, তাদের কাছে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ফেসবুক। এছাড়াও ফেসবুকের মূল ফিচারগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিভিন্ন অ্যাপ স্টোরে মেসেঞ্জার এর মতো কিছু অ্যাপ্লিকেশনও রয়েছে। ফেসবুকের মালিকানাধীন অ্যাপ্লিকেশনগুলির ডাউনলোড সংখ্যা অনুসারে, প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় একটি অ্যাপ পাবলিশার।