প্রথমবার যখন মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা মাপা হয় তখন এর উচ্চতা বাড়িয়ে বলা হয়েছিল।

এর আসল উচ্চতার সঙ্গে যোগ করা হয়েছিল কয়েক ফুট। কারণ ধারণা করা হয়েছিল কেউ বিশ্বাস করবে না যে এর উচ্চতা ঠিক বরাবর ২৯,০০০ ফুট!

১৭১৫ সাল থেকেই শক্তিশালী হিমালয়ের সর্বোচ্চ পর্বতচূড়া মাউন্ট এভারেস্টের সঠিক উচ্চতা মাপার চেষ্টা চালানো হচ্ছিল। পর্বতে আরোহন করতে না পারার কারণে কিছু প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। অন্যরা ব্যর্থ হন আলোর প্রতিসরণের মতো বাহ্যিক উপাদানগুলিকে বিবেচনায় নেননি বলে। ফলে কেবল ১৮৫২ সালে গিয়েই রাধানাথ সিকদার নামের একজন ভারতীয় গণিতবিদ এভারেস্টকে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্বত চূড়া হিসাবে চিহ্নিত করতে পেরেছিলেন।

সিকদার পূর্ববর্তী সমীক্ষক জেমস নিকোলসনের পরিমাপের ওপর ভিত্তি করে ত্রিকোণমিতির গণনা পদ্ধতি ব্যবহার করেছিলেন। তার গণনা ভারতের ব্রিটিশ সার্ভেয়ার জেনারেল অ্যান্ড্রু ওয়াহ যাচাই করে দেখেন।

আলোর প্রতিসরণ, ব্যারোমেট্রিক চাপ এবং তাপমাত্রার পরিবর্তন এসব বিবেচনায় নিয়ে রাধানাথ সিকদারের আবিষ্কার যাচাই করতে অ্যান্ড্রু ওয়াহ এবং তার কর্মীদের ২ বছর সময় লেগেছিল। শেষে ১৮৫৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের হিসাব-নিকাশ প্রকাশ করা হয়।

তাদের হিসাব অনুসারে কাঞ্চনজঙ্ঘার উচ্চতা ৮৫৮২ মিটার (২৮,১৫৬ ফুট) ঘোষণা করা হয়েছিল। মাউন্ট এভারেস্ট আগে পিক এক্সভি নামে পরিচিত ছিল। এর উচ্চতা ৮৮৪০ মিটার (২৯০০২ ফুট) বলা হয়েছিল।

বাস্তবে, এভারেস্টের আসল উচ্চতা বের করা হয়েছিল ঠিক ২৯০০০ ফুট (৮,৮৩৯.২ মিটার)। তবে সাধারণ্যে প্রকাশ করার সময় বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য আরো ২ ফুট যোগ করা হয়েছিল। কখনও কখনও অ্যান্ড্রু ওয়াহকে মজা করে এই কৃতিত্ব দেওয়া হয় যে তিনি হলেন “প্রথম ব্যক্তি যিনি মাউন্ট এভারেস্টের ওপরে দুটি পা রেখেছিলেন।”

বর্তমানে মাউন্ট এভারেস্টের উচ্চতা ২৯০৩০ ফুট।