ডিজিটাল শিল্পী বিপল এমন কিছু স্বয়ংক্রিয় রোবট কুকুর এনেছেন, আর্ট বাসেল মায়ামি ২০২৫-এ, যাদের মাথা দেখতে ঠিক এলন মাস্ক, মার্ক জাকারবার্গ, জেফ বেজোস, অ্যান্ডি ওয়ারহল, পাবলো পিকাসো এবং তার নিজের মত।

২০২৫ সালের ৩ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মায়ামি বিচ কনভেনশন সেন্টারের জিরো ১০ নামের ডিজিটাল আর্ট স্পেসে প্রদর্শিত এই এআই-ভিত্তিক ইন্টারঅ্যাকটিভ আর্টওয়ার্কের নাম রাখা হয়েছে ‘রেগুলার অ্যানিমেলস’।

প্রদর্শনীতে ঢুকলেই দেখা যায় একটি ফেন্সিং-এর মধ্যে কয়েকটি অদ্ভুত রোবট। দেখতে কুকুরের মত। কিন্তু ত্বকের রঙ, গঠন আর তাদের মুখে লাগানো অতিরিক্ত বাস্তবসম্মত সিলিকন মাস্ক পুরো পরিবেশটাকে অস্বস্তিকর করে তোলে।

এরা কেবল হাঁটাহাটিই করে না। রোবট কুকুরগুলি দর্শকদের দিকে তাকায়, তাদের ছবি তোলে, সেগুলি এআই দিয়ে প্রসেস করে, আর শেষে সেই ফলাফল ছাপা আকারে “পায়ুপথ দিয়ে” বের করে। তাদের পিঠের পর্দায় তখন বড় করে ‘POOP Mode’ লেখা ভেসে ওঠে। সাথে ব্লকচেইনে NFT সার্টিফিকেটও তৈরি হয়।

কেন এমন অদ্ভুত ইনস্টলেশন?
বিপল (মাইক উইংকেলম্যান) অনেকদিন ধরেই প্রযুক্তি আর সংস্কৃতির সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনামূলক আর্ট তৈরি করছেন। তার মতে—আমরা ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত নই। আজকের অ্যালগরিদম-চালিত দুনিয়ায় আমাদের সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট থেকে শুরু করে দৃষ্টিভঙ্গি পর্যন্ত সবকিছুই সফটওয়্যার দ্বারা ফিল্টার করা। আমরা দেখি, আমরা বিশ্বাস করি, আমরা মতামত দিই—সবই কোনো না কোনো অ্যালগরিদমিক হাত ঘুরে আসে।

বিপল সেই শক্তিকে রূপ দিয়েছেন রোবট-প্রাণীতে। যারা হাঁটে, তাকায়, ডেটা নেয়, বিশ্লেষণ করে—আর শেষে “কালচার” তৈরি করে।

এই শিল্পী জানাতে চান, প্রযুক্তি আজ আমাদের চারপাশে নীরবে কাজ করছে। আমরা বুঝি না, কীভাবে বা কেন। ঠিক সেই অভিজ্ঞতাটাই তিনি দর্শকদের হাতে তুলে দেন—যেন তারা খাঁচায় দাঁড়িয়ে অ্যালগরিদমের মুখোমুখি হয়।

কীভাবে কাজ করে রোবট কুকুরগুলি?
ইনস্টলেশনের প্রতিটি রোবট কুকুর আসলে তিনটি ধাপে কাজ করে। প্রথম ধাপে তারা চার পায়ে ধীরে ধীরে হাঁটে এবং চারপাশ পর্যবেক্ষণ করে। মুখে লাগানো ক্যামেরা দিয়ে দর্শক ও পরিবেশের চলাচল, মুখাবয়ব বা অবস্থান তারা ধারণ করে। তাদের গতিবিধি মানুষের মত সাবলীল নয়—বরং কৃত্রিম, কাঠখোট্টা এবং অস্বস্তিকর। ঠিক এই অস্বস্তিই বিপল-এর কাঙ্ক্ষিত অনুভূতি, যেন দর্শক টের পায় কোনো প্রযুক্তিগত সত্তা তাকে দেখছে।

পরবর্তী ধাপে শুরু হয় ছবি ধারণ। রোবটগুলি দর্শক এবং পরিবেশের বিভিন্ন দৃশ্য ক্যামেরায় তুলে নেয়। মানুষ হঠাৎ করে নিজেকে সেই নজরব্যবস্থার অংশ হিসাবে দেখতে পায়। কেউ ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে দাঁড়ায়, কেউ আবার অস্বস্তিতে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। এই নজরবন্দি মুহূর্তটিই শিল্পকর্মের প্রধান অভিজ্ঞতা। যেন অদৃশ্য অ্যালগরিদম আমাদের প্রতিদিন যেমন বিচার করে, রোবটগুলিও সেটিই দৃশ্যমান করে তুলছে।

শেষ ধাপে রোবট কুকুরের এআই সিস্টেম সেই ছবি প্রসেস করে। প্রতিটি রোবটের মুখে যে ব্যক্তির মাস্ক পরানো রয়েছে, তাদের চরিত্র, প্রভাব বা সাংস্কৃতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে আউটপুটের ভিজ্যুয়াল স্টাইল তৈরি হয়।

যেমন, Musk বটের আউটপুট বিশৃঙ্খল, তীক্ষ্ণ, ভবিষ্যত-বিদীর্ণ—X/Twitter-এর পরিচিত উন্মত্ততা সেখানে প্রতিফলিত। Zuckerberg বটের কাজে রয়েছে AR-স্টাইলের লেয়ার, যা সোশ্যাল মিডিয়া নকশা ও ফিল্টারের বিদ্রূপ তুলে ধরে। Bezos বটের আউটপুটে ভোক্তা সংস্কৃতি আর নজরদারির ছাপ, Warhol বটে পপ-আর্টের পুনরাবৃত্তি, Picasso বটে ভাঙা, বিকৃত মানবমুখ আর বিমূর্ত জ্যামিতি। Beeple বট নিজেই নিজের NFT-হাইপ, গ্লিচ আর ডিজিটাল অতিরঞ্জন নিয়ে আত্মব্যঙ্গ করে। এগুলি কখনোই শুধু হাসির খোরাক নয়—এগুলি সমসাময়িক সংস্কৃতির ব্যাখ্যা, ক্ষমতার প্রতীক আর টেক-চেতনার প্রতিফলন।

সবচেয়ে আলোচিত অংশ হল “poop” আউটপুট। প্রসেস করা ছবি ও NFT-গুলি রোবটের ঠিক পেছনের অংশ দিয়ে প্রিন্ট হয়ে বের হয়, যেন প্রযুক্তি মানুষের সংস্কৃতিকে নিছক মল বা বিষ্ঠায় পরিণত করে ফেলছে।

রোবটের মাস্কগুলি বানিয়েছে প্রসিদ্ধ নির্মাতা Hyperflesh। কেন প্রায় জীবন্ত মনে হওয়া মুখ? কারণ বিপল দেখাতে চেয়েছেন—যারা আধুনিক পৃথিবীর তথ্য নিয়ন্ত্রণ করে, যারা সংস্কৃতি বানায়, যারা অ্যালগরিদম ডিজাইন করে—তারা একদিকে মানুষ, অন্যদিকে বিশাল শক্তির প্রতীক। মাস্কগুলি সেই ব্যক্তিদেরই অতিরঞ্জিত রূপে হাজির করেছে।

উল্লেখ্য, মানব-সদৃশ কুকুর রোবটগুলিকে নির্দিষ্ট বিরতিতে চার্জ দেওয়া হয়।

দর্শকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া
জিরো টেন সেকশন প্রথম দিন থেকেই সরগরম। রেগুলার অ্যানিমেলস-এর সামনে মানুষের ভিড় লেগে আছে। দর্শকরা রোবটগুলির মুখ দেখে বার বার তাকায়, কেউ ভিডিও তোলে। চারদিকে নানা প্রতিক্রিয়া শোনা যায়—”ভয়ংকর!”, “ঘৃণ্য!”, আবার কেউ বলেন—”দারুণ!” একজন দর্শক চুপ করে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থেকে বলেন—”এটা… আলাদা।”

মেলার প্রথম দিন, বিপল নিজেই রোবটগুলির ঘের দেওয়া জায়গার ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রোবটগুলি যে ছোট ছোট ছবি “ত্যাগ” করছিল, তিনি সেগুলি কুড়িয়ে দর্শকদের হাতে দিচ্ছিলেন। তাতে লেখা ছিল, “এই শিল্পকর্মটি পরীক্ষা করা হয়েছে এবং নিশ্চিত করা হচ্ছে যে এটি ১০০% খাঁটি, GMO-মুক্ত, অর্গানিক ‘কুকুরের বিষ্ঠা’, যা একটি মাঝারি আকারের পূর্ণবয়স্ক কুকুরের পায়ুপথ থেকে আগত।” তার চুলের কাট আর চশমাসহ নিজের মুখের আদলে তৈরি রোবট দুটি নিয়ে বিপল হাসতে হাসতে বললেন, অন্য রোবটগুলির ভিড়ে আমাকে একটু আলাদাই বলতে হবে।

তিন বছরের ‘জীবন’
রোবট কুকুরগুলির জীবন সীমাবদ্ধ। বিপলের ব্যাখ্যা অনুযায়ী ওরা মাত্র তিন বছর পর্যন্ত ছবি তুলবে এবং ব্লকচেইনে NFT হিসাবে রেজিস্টার করবে। তিন বছর পর এই minting বন্ধ হয়ে গেলে তারা তাদের শিল্পের উদ্দেশ্য হারাবে। তবে তারা চলাফেরা করতে পারবে—অর্থাৎ “রোবোটিক জীবন” থাকবে, কিন্তু “শিল্প-আত্মা” শেষ হয়ে যাবে। কাজটি প্রদর্শন ও বিক্রি করছে লস অ্যাঞ্জেলেস-ভিত্তিক গ্যালারি Bitforms। প্রতিটি রোবটের দাম US $375,000।

মেলা শুরুর প্রথম এক ঘণ্টার মধ্যেই সবকটি রোবট বিক্রি হয়ে গেছে, ক্রেতাদের মধ্যে আছেন বড় বড় ক্রিপ্টো কালেক্টর ও টেক ইন্ডাস্ট্রির লোকজন।

প্রযুক্তি ও শিল্পের এই মিলন নিয়ে সমালোচনা
এই প্রদর্শনীটি আধুনিক সমাজে প্রযুক্তি ও শক্তিশালীদের প্রভাব নিয়ে গভীর প্রশ্ন তুলেছে। অনেক সমালোচক এটাকে মানবতা ও শিল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগের প্রতীক হিসাবে দেখছেন। কারো মতে, এটি আমাদের সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান হস্তক্ষেপের ভয়াবহ চিত্র তুলে ধরেছে, যেখানে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সংকুচিত হচ্ছে এবং শিল্পের স্বাধীনতা হারিয়ে যাচ্ছে।

বিশ্লেষকরা এই ইনস্টলেশনকে “প্রযুক্তিগত শিল্পায়নের অন্ধকার দিক” হিসাবে দেখাচ্ছেন, যা আমাদের সামাজিক অনুমান ও প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পুনর্চিন্তা করতে বাধ্য করছে। বিশেষ কিছু সমালোচক মনে করেন, এ ধরনের শিল্প প্রচেষ্টা ভীষণ দার্শনিক হলেও, সেলিব্রিটি মুখগুলি ব্যবহার করে এটি এক ধরনের জনপ্রিয়তাবাদ বা বাজার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে, যা প্রযুক্তির আধিপত্যকে আরেকবার মহিমান্বিত করছে।

বিপল বলেন, আমি এমন কিছু বানাতে চেয়েছিলাম, যেটা একই সঙ্গে এই মেলার সবচেয়ে ডাম্ব জিনিস, আবার সবচেয়ে বুদ্ধিমান জিনিসও। এগুলি মূলত ৩,৭৫,০০০ ডলারের ‘শিটপোস্ট’ তৈরি করার মেশি —পাশাপাশি এগুলি নজরদারি-নির্ভর পুঁজিবাদের ওপর সমালোচনাও করছে।

বিপলের কাজ: মানুষ বনাম প্রযুক্তি
বিপল ২০২১ সালে বিশ্বজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন যখন তার ডিজিটাল কোলাজ Everydays: The First 5000 Days নিলামহাউস Christie’s-এ ৬৯.৩ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি হয়। সেই বিক্রির মাধ্যমে তিনি জীবিত অবস্থায় বিশ্বের অন্যতম দামি শিল্পীতে পরিণত হন। পরের দিকে NFT বাজার ধসে পড়ে, আর বিপল নিজেই সেই পতন আগেই অনুমান করেছিলেন। তার মতে, বাজারে অতি দ্রুত অতিরিক্ত সংখ্যক নিম্নমানের NFT ঢুকে যাওয়ায় তা টেকসই হয়নি। তবে NFT-র ক্র্যাশ সত্ত্বেও ডিজিটাল আর্ট ধীরে ধীরে আবার শক্ত অবস্থান তৈরি করছে। আর্ট বাসেল-এর ২০২৫ সালের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ডিজিটাল আর্টের বিস্তার আবারও বাড়ছে, আর সেজন্যেই এই মেলাতে নতুন একটি বিভাগ যোগ হয়েছে—Zero 10—যা সম্পূর্ণ ডিজিটাল ও প্রযুক্তিনির্ভর শিল্পকর্মের জন্য তৈরি।

মাইক উইংকেলম্যান (জন্ম. ১৯৮১)

২০২৫ সালে বিপল যে প্রজেক্টগুলি করছেন, Diffuse Control, Synthetic Theatre, সবকটিতেই একটাই থিম: মানুষ বনাম প্রযুক্তি। অর্থাৎ “কে কাকে চালাচ্ছে?” রেগুলার অ্যানিমেলস সেই পথে সবচেয়ে বাস্তব অভিজ্ঞতা দেয়। স্ক্রিন নয়, সামনে দাঁড়ানো যন্ত্র, যা আপনাকে পর্যবেক্ষণ করছে, ব্যাখ্যা করছে, ব্যঙ্গ করছে।

বিপল-এর রেগুলার অ্যানিমেলস ইনস্টলেশনের মধ্যে কয়েকটি স্পষ্ট থিম কাজ করে। প্রথমত, অ্যালগরিদমের আধিপত্য—আজ আমাদের চোখে কী পৌঁছাবে, কোন খবর দেখব, কোন কনটেন্টে মনোযোগ দেব, এমনকি কখন হাসব বা ক্ষুব্ধ হব—এর সবই কোনো না কোনো সফটওয়্যার সিদ্ধান্ত নিয়ে দেয়।

আমরা ভেবে নিই যে আমরা স্বাধীনভাবে ভাবছি, কিন্তু বিপল দেখান, আসলে অদৃশ্য প্রোগ্রাম আমাদের চিন্তা ও অভ্যাসকে চালিত করছে।

দ্বিতীয়ত, নজরদারি সংস্কৃতি। রোবটগুলির চোখে লাগানো ক্যামেরা যেন নীরব সতর্কবার্তা—ডিজিটাল সময়ে আমরা সবসময় পর্যবেক্ষণে আছি। সেই অস্বস্তিকর নজর দর্শককে স্মরণ করিয়ে দেয় যে ফোন, অ্যাপস, সোশ্যাল মিডিয়া আর ডেটা ট্র্যাকারদের নজরদারি কতটা বিস্তৃত।

হাইপ-অর্থনীতিও এই শিল্পকর্মের শক্তিশালী থিম। বিপল সরাসরি দেখিয়ে দেন কীভাবে “poop” আকারে বের হওয়া একটি প্রিন্ট কিংবা NFT-ও শুধু জনপ্রিয়তার কারণে বিশাল মূল্য পেতে পারে। NFT যুগে হাইপ-ই মূল্য নির্ধারণ করে। দৃষ্টির কেন্দ্রবিন্দুতে নামলেই তা অর্থে পরিণত হয়। আবার ডিজিটাল মৃত্যুবোধও গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত। যে প্রযুক্তির ওপর আমরা ভবিষ্যৎ গড়ছি, তার আয়ুষ্কালও ক্ষণস্থায়ী। তিন বছর পর রোবটগুলির সৃজনশীল ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে, ঠিক যেভাবে সফটওয়্যার, ট্রেন্ড বা প্ল্যাটফর্ম রাতে-রাতে পুরোনো হয়ে পড়ে।

সবশেষে আছে টেক আইডলদের পুজা। মানুষের চেহারা নিয়ে পশুর দেহে বন্দি বিলিয়নিয়ারদের মাস্ক আমাদের সমাজের রীতিটাই তুলে ধরে—যেখানে আমরা প্রযুক্তি নেতাদের প্রায় দেবতার মর্যাদা দিই, তাদের সিদ্ধান্তকে প্রভাবশালী সত্য ধরে নিই, আর সংস্কৃতিকে তাদের ছাঁচে গড়ে নেই।

এই শিল্পকর্মের গুরুত্ব এখানেই যে রেগুলার অ্যানিমেলস শুধু কোনো রোবট প্রদর্শনী নয়—এটি এমন এক অভিজ্ঞতা যেখানে প্রযুক্তির প্রভাব চোখের সামনে হাঁটে, আমাদের দিকে তাকায়, ছবি তোলে, ব্যঙ্গ করে, আর আমাদের হাত ধরে জিজ্ঞেস করে—আমরা কি জানি অ্যালগরিদম আমাদের কীভাবে ব্যাখ্যা করছে?

আমরা কি নিশ্চিত, কারা নিয়ন্ত্রণ করছে আমাদের স্ক্রিন, মনোযোগ, আচরণ? আর আমরা কি নিছক সিস্টেমের ডেটা হয়ে যাচ্ছি না? বিপল মজা করেন, কিন্তু তার হাসির আড়ালে রয়েছে ভবিষ্যৎ নিয়ে ভয়াবহ সতর্কতা—“আমরা কি সত্যিই প্রস্তুত?”

সাম্প্রতিক ডেস্ক