মিশরীয় বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে একটি দল, মিশরের ‍সাহারা মরুভূমিতে চার পায়ের একটি উভচর তিমির জীবাশ্ম বা ফসিল খনন করেছেন। ফসিলটির বয়স ৪৩ মিলিয়ন বছর।

গবেষকরা জানান যে এই প্রাণীটির মাথার খুলিতে ভিন্ন ধরনের কিছু বৈশিষ্ট্য ছিল। এবং এর চোয়াল পর্যবেক্ষণ করে জানা গেছে, এদের মুখের কার্যক্রমের দক্ষতা অনেক বেশি ছিল।

সহজ ভাষায় বললে, এই শক্তিশালী উভচর তিমির খাবার খাওয়ার ধরন খুবই হিংস্র ছিল।

গবেষকদের একজন, বিজ্ঞানী আবদুল্লাহ গোহার এদের ভয়ঙ্কর চোয়ালের ব্যাপারে জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে, শক্তিশালী চোয়াল থাকায় এরা অনেক প্রজাতির প্রাণী শিকার করতে পারত। এই তিমি তার এলাকায় বসবাসকারী বেশিরভাগ প্রাণীর জন্যেই মৃত্যুর দেবতা ছিল।

বিজ্ঞানীরা মিশরীয় দেবতা আনুবিস-এর নাম অনুসারে নতুন এই তিমির প্রজাতির নাম রেখেছেন ফিওমাইসিটাস আনুবিস (Phiomicetus anubis)।

আনুবিস নামের কুকুরের মাথাওয়ালা এই দেবতাকে মূলত মমি করা এবং পরকালের সাথে সম্পৃক্ত করে দেখা হত। এখনকার সময় যেমন কিলার হোয়েল বা শিকারী তিমিকে বলা হয়, তেমনই জীবিত থাকাকালে এই প্রাণীকে সে সময়ের শীর্ষ শিকারি বলা যেতে পারে।

আরো পড়ুন: তিমির বিষ্ঠার আশ্চর্য ক্ষমতা

বিজ্ঞানীরা জানান, একটা সময় তিমি ছিল হরিণের মত তৃণভোজী এবং স্থলজ স্তন্যপায়ী প্রাণী। প্রায় ১ কোটি বছরের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে তিমি সাগরের মাংসাশী প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। নতুন এই প্রাণীটির জীবাশ্ম আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে তিমির বিবর্তন কীভাবে হলো, তার একটি ধারণা পাওয়া যাবে।

সূত্র. এনপিআর ডটঅর্গ
অনুবাদ: যাইয়ার আযান